সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
জনাব এ্যাড: জাহাঙ্গীর কবির নানক ১৯৫৪ সালের ১৪ই জানুয়ারী বরিশালের এক বনেদী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৬৯ সালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়লেও সফলতার সাথে আইন বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তার রয়েছে একটি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে কালের পরিক্রমায় আজ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এাড: জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি সাবেক ভি.পি. বরিশাল বি.এম কলেজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কার্যনিবাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বতমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামাত বিরোধী সকল আন্দোলন-সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। বারংবার মামলা, হামলার স্বীকার হয়েছেন। আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ এই নেতা দলের সংকটময় সময় রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে সগ্রাম চালিয়েছেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের দুই মাসের মধ্যেই মর্মান্তিক পিলখানা ট্রাজেডিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুনিপুনভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নিবাচিত হন। সরকারের এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা “ঢাকা-১৩” এর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকায় ৬৭টির অধিক পানির পাম্প বসিয়ে পানির সংকট নিরসন করেন। যার সুফল আজও ভোগ করছে এই নির্বাচনী আসনে বসবাসরত বাসিন্দারা। ৩৩ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করে ঢাকা-১৩ আসনকে লোডশেডিংমুক্ত করেন নানক। রাস্তাঘাট ছিল খানাখন্দে ভরা। কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। ঢাকা- ১৩ আসনের রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পূর্ণ করেন নানক। চৌদ্দ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাঘাটের ব্যাপক সংস্কার করেন। জাতীয় সংসদ ভবনের খালটি ড্রেনেজ সিস্টেমে কল্যাণপুর খালে সংযুক্ত করেন। যার ফলে এখন প্রবল বৃষ্টিতেও কোথাও পানি জমে থাকে না।
শ্যামলী মাঠ, নুরজাহান রোড, কবরস্থান মাঠ, জান্নাতবাগ মাঠ, খিলজি রোড মাঠ, লালমাটিয়া মাঠ, শহীদ পার্ক মাঠ, রায়ের বাজার বৈশাখী মাঠ, বাঁশবাড়ি সবুজসংঘ মাঠসহ সব মাঠগুলোকে দখলমুক্ত করে সংস্কার করেছেন এমপি নানক। অথচ- এই মাঠগুলোতে এক সময় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দোকান বসতো, বালির ব্যবসা চলতো, সন্ধ্যার পরে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতো। মোহাম্মদপুর, জেনেভা ক্যাম্প, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকাগুলো ২০০৯ সালের আগে ছিল মাদক আর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। ১৬২ জন চিহ্নিত ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এ এলাকায় ভাড়ায় কাজ করত। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন, চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, মাদক ব্যবসা করত। কোন ভদ্রলোক এই এলাকায় বসবাস করতে পারতেন না। সাধারন মানুষজন তাদের কাছে জিম্মি ছিল। এমপি নানক সাহেবের সৎ সাহস ও আপোসহীন পদক্ষেপে তারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান হয়েছে।
তিনি ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মুখপাত্র, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর স্হানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এভাবেই একজন ছাত্রনেতা থেকে জননেতা এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আকরাম সেরনিয়াবাত
লেখক,সাংবাদিক।