শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
“উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই
নিঃশেষে প্রান যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। “
আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা কাল। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। এই দিনে জাতি স্মরণ করছে শহীদদের। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হবার ইতিহাস।
পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অন্তমিত যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছর অপেক্ষা করে পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগন পেয়েছিলেন পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি দেশ। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কবল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পথে। তার অপরিসীম দৃঢ়তা , বলিষ্ঠতা, সাহস ও আপোসহীন নেতৃত্ব বাঙ্গালী জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা জাগিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণই তাঁর জলন্ত প্রমান।
এরপরই বাংলার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে বঙ্গবন্ধুর হাতে। কিন্তু পাকিস্তানি শামরিক জান্তারা আলোচনার নামে প্রবঞ্চনা করে ২৫শে মার্চ রাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ বাঙ্গালীর উপর। রক্তে রঞ্জিত হয় সবুজ শ্যমল বাংলা, ঢাকার রাজপথ। কিন্ত কাপুরুষ জান্তারা বাঙালী জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ২৬শে মার্চ ১ম প্রহরে গ্রেফতারের পূর্ব মুহর্তে বঙ্গবন্ধু বাংলার স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তির জন্য যুদ্ধ এবং ১৬ই ডিসেম্বরের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক।
বাঙালির ইতিহাসে ২৬শে মার্চ এক অনন্য অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
লেখকঃ
খান সিরাজুল ইসলাম
যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক,
কেন্দ্রীয় কমিটি, জাতীয় শ্রমিক লীগ।