সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন
স্বাধীনতা দিবসের পর যেকোন দিন মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন নতুন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ শুরু করেছে। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে এরই মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন, তা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অসুস্থ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ কিংবা রদবদলের এখতিয়ার সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন, এমন নেতাদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হকের মধ্য থেকে যে কোন দুইজন আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।
তবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের ভাগ্য আপাতত খুলছে না। সরকারি দলের বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে দু-একজনের সম্ভাবনা থাকলেও নতুনদেরই প্রাধান্য থাকবে সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভায় কতজন অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, তা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে এই সংখ্যা ১০-এর বেশি হবে না বলে জানা গেছে।
বর্তমান মন্ত্রিসভায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এ পদে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির নামও শোনা যাচ্ছে।
চলতি বছরের ০৭ জানুয়ারি গঠিত বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৭। এর মধ্যে ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রীসহ), ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৩ জন উপমন্ত্রী হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন । ৪৭ সদস্যের মন্ত্রীসভার ৪৪ জন সরাসরি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন এবং ৩ জনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। টেকনোক্র্যাট কোটায় ৩ জনের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও মোস্তাফা জব্বার পূর্ণ মন্ত্রীর এবং শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। উল্লেখ্য যে, মন্ত্রীসভায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী যতজন হবে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে গঠিত হয় টেকনোক্র্যাট কোটা। এই কোটায় প্রধানমন্ত্রী “সংসদ সদস্য নয়” এমন যে কাউকে মন্ত্রিত্ব দিতে পারেন।