সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
আজ ৩রা এপ্রিল সারা দেশে একযোগে ৬৪ টি জেলায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কর্মচারীগন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর” গঠনের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্মচারী সংসদ সিবিএ (জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারন সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব মোঃ মফিজুল ইসলাম অনুসন্ধান২৪.কম এর প্রতিনিধিকে জানান যে , ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে সরকারী পথিকৃত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে একমাত্র বিআরডিবি-ই সরকারের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বিগত সরকার সমূহের উদাসীনতার কারণে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্বাধীনত্তোর বাংলাদেশে একমাত্র বিআরডিবি-ই ছিলো বাংলাদেশ সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের কর্মসূচি তথা দারিদ্র্য দূরীকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের প্রধান সংগী বা একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান। বিআরডিবি কে অনুসরণ করে বাংলাদেশে অনেক সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারের সুনজরে অধিদপ্তরে রূপান্তরিত হয়েছে। অথচ মাদার অর্গানাইজেশন হিসেবে বিআরডিবি কর্তৃপক্ষ সরকারের সু-দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বর্তমান নিঃস্ব প্রায় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচিতে কর্মরত প্রায় ৮,০০০ (আট হাজার) কর্মকর্তা/কর্মচারী “গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর” আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে; অথচ বিআরডিবি’র বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচিতে কর্মরত ৮,০০০ (আট হাজার) কর্মচারীর আয় থেকে দায় প্রথার কারণে বেতন ভাতা না পেয়ে এবং ২৬-২৮ বছর যাবৎ চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তারা আরো জানান, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে পুনরায় বিআরডিবিকে ধ্বংস করার জন্য আমলাতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র করছে। বিআরডিবি কর্মচারী সংসদ-সিবিএসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ফাউন্ডেশন মানে না। এমতাবস্থায় বিআরডিবি’র রাজস্ব বাজেটসহ প্রকল্প/কর্মসূচীতে কর্মরত সকল জনবলের সমন্বয়ে “ বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর” রূপান্তরের আর্জি জানিয়ে আজ সারা দেশে একযোগে ৬৪ টি জেলায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত কর্মচারীগন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
“বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য দূরীকরণ ফাউন্ডেশন” এর পরিবর্তে তারা “বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর” গঠনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।