শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী জানান, তিনি ওই পদত্যাগপত্র শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে হস্তান্তর করেছেন।
এর আগে উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন পদত্যাগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবের সঙ্গে কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত প্রতিবেদন আমরা ইতোমধ্যে হাতে পেয়েছি। আলোচনা মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এর আগে গত রবিববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার কিছু পর কড়া পুলিশ পাহারায় নিজের বাসভবন থেকে গাড়িতে করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন উপাচার্য।
এ দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিএস) উপাচার্য ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণের সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। তারপরই ভিসি ক্যাম্পাস ছেড়ে যাচ্ছেন বলে ক্যাম্পাসে গুঞ্জন শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও দ্য ডেইলি সানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিসি পতনের আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর, দুপুরে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা শিক্ষার্থীদের উপর পাঁচস্থানে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরো বেগবান হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ওই দিনই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইউজিসির তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। ওই তদন্তে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির আলামত পায় কমিটি।