রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:২১ অপরাহ্ন
জাহিদ ১০০ টাকা পকেটে নিয়ে বেরিয়ে পরল। গত এক বছর চাকরির সন্ধানে সে। আজও তার একটি ইন্টারভিউ আছে। মেইন রোডে পা রাখতেই ফুটপাতের বামে তাকাল।
-অই ছেমরা। জুতাডা ডইল্লা দে।
-জ্বে স্যার।
– হাতে জোর নাই কেন? জোর লাগা।
– আইচ্ছা, স্যার। এহনই দিতাছি।
– সর সর। দিলি তো আমার জুতাডার চামরা উঠাইয়া। এক টাকাও দিব না, শালা জুতার বারোটা বাজায় দিলি।
– স্যার, ২ডা ট্যেকা দিয়া যান স্যার। আমার ছোড বোনডা কাইল ফুল বেচন যায়া লেগুনার লগে ধাক্কা খাইয়া মাথা ফাডাইছে। কাপড় বাইন্দা দিয়া আইসি তাও কান্দন থামায় না। কয় জ্বলতাছে। বইল্লা আইছি কান্দন থামা, রাইতে মলম নিয়া আমু।
পকেট থেকে ১০০ টাকার নোটটা ছেলেটার হাতে দিতেই ফোকলা দাঁতের হাসি দেখে জাহিদের বাম বুকটায় একটু অদ্ভুত অনুভূতি হল। কিন্তু তা বুঝবার এখন একদমই সময় নেই। তাকে যেতে হবে…
লেখিকাঃ ফারহানা হক শতাব্দী,
বি.আইটি, ইউনিভার্সিটি টেনাগা ন্যাশনাল, মালায়শিয়া।