Warning: Use of undefined constant jquery - assumed 'jquery' (this will throw an Error in a future version of PHP) in /home/onuson/public_html/wp-content/themes/popularnews/functions.php on line 28

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ক্ষমতার জন্য বিএনপি দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতেও দ্বিধাবোধ করে না: ওবায়দুল কাদের জনগণকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার আহবান প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ॥ বিএনপির রাজনীতি রক্ত-লাশের : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী শত বছর পর বরিশাল জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা এক জায়গা থেকে নিশ্চিত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সম্পূর্ণ ভূমি ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর ২য় ডোজ গণটিকা দান কর্মসূচি শুরু আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে : শিক্ষামন্ত্রী ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য আরও ২শ’ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ দেয়া হচ্ছে পঞ্জশিরে জোর লড়াই ॥ সরকার গঠনের প্রস্তুত তালেবান
চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী আজ সোমবার (১০ আগস্ট)।এ গুণী শিল্পী ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মেছের আলী, মা মাজু বিবি। রাজমিস্ত্রি পিতা মেছের আলীর নান্দনিক সৃষ্টির ঘঁষামাজার মধ্য দিয়ে ছোট বেলার লাল মিঞার (সুলতান) চিত্রাংকনে সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয়।

রাজমিস্ত্রি বাবার সংসারে দারিদ্রতার মাঝেও ১৯২৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন এসএম সুলতান। স্কুলের অবসরে বাবার রাজমিন্ত্রী কাজে সহযোগিতার করার ফাঁকে ছবি আঁকতে শুরু করেন। এ সময় তার আঁকা ছবি স্থানীয় জমিদারদের দৃষ্টি আর্কষণ করে।

রাজনীতিক ও জমিদার শ্যামাপ্রাসাদ মুখোপাধ্যায় ১৯৩৩ সালে নড়াইলের জমিদার ব্যারিস্টার ধীরেন রায়ের আমন্ত্রণে ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শনে আসলে তার একটি পোট্রেট আঁকেন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এসএম সুলতান। মুগ্ধ হন শ্যামাপ্রাসাদসহ অন্যরা। লেখাপড়া ছেড়ে ১৯৩৮ সালে কলকাতায় গিয়ে ছবি আঁকা ও জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন সুলতান। সে সময় চিত্র সমালোচক শাহেদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে তার পরিচয় হয়। সোহরাওয়ার্দীর সুপারিশে অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ১৯৪১ সালে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তির সুযোগ পান এসএম সুলতান।

১৯৪৪ সালে আর্ট স্কুল ত্যাগ করে ঘুরে বেড়ান এখানে-সেখানে। এ সময় কাশ্মীরের পাহাড়ে উপজাতীয়দের সাথে বসবাস শুরু করেন এবং তাদের জীবন-জীবিকা নিয়ে চিত্রাংকন শুরু করেন। ১৯৪৫-৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তার প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী হয়।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতিমা জিন্নাহ ১৯৪৮ সালে লাহোরে সুলতানের চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ১৯৫০ সালে চিত্রশিল্পীদের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদানের জন্য তিনি আমেরিকা যান। এরপর ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশের একক ও যৌথ চিত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। পাবলো পিকাসো, সালভেদর দালি, পল ক্লী প্রমুখ খ্যাতিমান শিল্পীদের ছবির পাশে সুলতানই এশিয়ার একমাত্র শিল্পী যার ছবি এসব প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবার সুযোগ লাভ করে। ১৯৫৩ সালে নড়াইলে ফিরে আসেন সুলতান। শিশু-কিশোরদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি চারুকলা শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই নড়াইলে ‘দি ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে স্থপন করেন ‘শিশুস্বর্গ’।

এদিকে, সুলতান তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে ১৯৯২ সালে ৯ লাখ মতান্তরে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৫ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট দ্বিতলা নৌকা (ভ্রাম্যমাণ শিশুস্বর্গ) নির্মাণ করেন।সুলতানের শিল্পকর্ম ছিল বাংলার কৃষক, কৃষাণী, জেলে, তাঁতি, কামার, কুমার, মাঠ, নদী, হাওড়, বাওড়, জঙ্গল, সবুজ প্রান্তর ইত্যাদি। চিত্রাংকনের পাশাপাশি বাঁশি বাজাতে পারতেন তিনি। পুষতেন সাপ, বেজি, বানর, খরগোস,মদনটাক,ভলুক,ময়না, গিনিপিগ, মুনিয়া, ষাঁড়সহ বিভিন্ন পশু-পাখি। চিত্রাপাড়ের লালমিয়া শিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে পেয়েছেন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’ নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ পুরস্কার।

এছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য শিল্পীর মৃত্যুর পর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শিল্পীর বাসভবন সংলগ্ন ২একর ৫৭ শতক জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর চিরকুমার,অসাম্প্রদায়িক এ শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় তাকে শায়িত করা হয়।
সুলতান ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুলতান সংগ্রহশালা চত্বরে আগামীকাল সোমবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকালে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল ও শিল্পীর কবরে পু®স্তবক অর্পণের আয়োজন করা হয়েছে।সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পীর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে

খবরটি শেয়ার করুন..




© All rights reserved © 2020 onusondhan24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!